মাইক্রোসফট

- তথ্য প্রযুক্তি - কম্পিউটার (Computer) | NCTB BOOK
3.3k
Summary

মাইক্রোসফট (Microsoft) হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি, যা ১৯৭৫ সালে বিল গেটস এবং পল অ্যালেন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কম্পিউটার সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, এবং ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করে।

মাইক্রোসফটের মূল পণ্যসমূহ:

  • উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম, বিভিন্ন সংস্করণে উপলব্ধ।
  • মাইক্রোসফ্ট অফিস: অফিসিয়াল কাজ এবং ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রয়োগ করা হয়।
  • এক্সবক্স: গেমিং বিশ্বের প্রধান কনসোল।
  • মাইক্রোসফট এজ: মাইক্রোসফটের ওয়েব ব্রাউজার।
  • মাইক্রোসফট টিমস: সহযোগিতা এবং যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম।
  • মাইক্রোসফট অ্যাজুর: ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা।

মাইক্রোসফটের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রসমূহ:

  • সফটওয়্যার
  • হার্ডওয়্যার
  • ক্লাউড কম্পিউটিং
  • গেমিং

মাইক্রোসফটের ভবিষ্যৎ:

  • AI এবং Machine Learning: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে ফোকাস।
  • মেটাভার্স: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ।
  • সাস্টেনেবিলিটি: ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন।

সারসংক্ষেপ, মাইক্রোসফট প্রযুক্তির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ভবিষ্যতে নতুন উদ্ভাবনে জড়িত থাকবে।

মাইক্রোসফট (Microsoft) হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং সুপরিচিত প্রযুক্তি কোম্পানি, যা ১৯৭৫ সালে বিল গেটস (Bill Gates) এবং পল অ্যালেন (Paul Allen) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। মাইক্রোসফট মূলত কম্পিউটার সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, এবং ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এর জনপ্রিয় পণ্যসমূহের মধ্যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম, মাইক্রোসফ্ট অফিস, এবং এক্সবক্স গেমিং কনসোল উল্লেখযোগ্য।

মাইক্রোসফটের ইতিহাস:

  • প্রতিষ্ঠা (১৯৭৫): মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত হয় বিল গেটস এবং পল অ্যালেনের উদ্যোগে। তারা প্রথমে BASIC প্রোগ্রামিং ভাষার ইন্টারপ্রেটার তৈরি করে Altair 8800 কম্পিউটারের জন্য।
  • উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম (১৯৮৫): মাইক্রোসফট উইন্ডোজ নামে একটি গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম চালু করে, যা MS-DOS এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। উইন্ডোজ দ্রুতই কম্পিউটার জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে এবং এখন এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম।
  • মাইক্রোসফট অফিস (১৯৮৯): মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, এবং অন্যান্য প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ্লিকেশনগুলির সমন্বয়ে মাইক্রোসফট অফিস চালু করে, যা অফিসিয়াল কাজ এবং ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি জনপ্রিয় প্যাকেজ হয়ে ওঠে।
  • এক্সবক্স গেমিং কনসোল (২০০১): মাইক্রোসফট গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করে এক্সবক্স গেমিং কনসোল চালু করার মাধ্যমে, যা পরবর্তীতে গেমিং বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।
  • ক্লাউড সার্ভিস (Microsoft Azure): মাইক্রোসফট ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবার ক্ষেত্রে Microsoft Azure চালু করে, যা ক্লাউড স্টোরেজ, ভার্চুয়াল মেশিন, এবং অন্যান্য ক্লাউড পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি AWS-এর অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

মাইক্রোসফটের প্রধান পণ্যসমূহ:

১. উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম (Windows):

  • উইন্ডোজ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপ অপারেটিং সিস্টেম। বিভিন্ন সংস্করণ যেমন Windows XP, Windows 7, Windows 10, এবং সর্বশেষ Windows 11 মাইক্রোসফটের প্রধান পণ্য হিসেবে পরিচিত।

২. মাইক্রোসফট অফিস (Microsoft Office):

  • মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজে Word, Excel, PowerPoint, Outlook, Access, এবং OneNote-এর মতো প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি অফিসিয়াল কাজ এবং ডকুমেন্টেশন, ডেটা বিশ্লেষণ, এবং প্রেজেন্টেশনের জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়।

৩. এক্সবক্স (Xbox):

  • মাইক্রোসফটের গেমিং প্ল্যাটফর্ম, যা Xbox, Xbox 360, Xbox One এবং সর্বশেষ Xbox Series X ও Series S এর মতো কনসোলের মাধ্যমে গেমিং দুনিয়ায় জনপ্রিয়।

৪. মাইক্রোসফট এজ (Microsoft Edge):

  • মাইক্রোসফট এজ হলো মাইক্রোসফটের ওয়েব ব্রাউজার, যা পূর্বে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (Internet Explorer) নামে পরিচিত ছিল। এটি বর্তমানে ক্রোমিয়াম ভিত্তিক এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৫. মাইক্রোসফট টিমস (Microsoft Teams):

  • মাইক্রোসফট টিমস হলো একটি সহযোগিতা এবং যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম, যা রিমোট ওয়ার্ক এবং অনলাইন মিটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ভিডিও কনফারেন্সিং, চ্যাট, এবং ফাইল শেয়ারিংয়ের সুবিধা প্রদান করে।

৬. মাইক্রোসফট অ্যাজুর (Microsoft Azure):

  • মাইক্রোসফটের ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা, যা ব্যবসায়িক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাউড সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ভার্চুয়াল মেশিন, ক্লাউড স্টোরেজ, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, এবং AI পরিষেবাসহ অসংখ্য সুবিধা প্রদান করে।

মাইক্রোসফটের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রসমূহ:

১. সফটওয়্যার:

  • মাইক্রোসফট মূলত উইন্ডোজ এবং মাইক্রোসফট অফিসের জন্য পরিচিত, যা ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

২. হার্ডওয়্যার:

  • মাইক্রোসফট Surface ডিভাইস এবং এক্সবক্স কনসোল তৈরি করে, যা জনপ্রিয় হার্ডওয়্যার পণ্য হিসেবে বাজারে পরিচিত।

৩. ক্লাউড কম্পিউটিং:

  • Microsoft Azure বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারী, যা ক্লাউড ভিত্তিক সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়।

৪. গেমিং:

  • Xbox এবং তার গেমিং পরিষেবা যেমন Xbox Live মাইক্রোসফটকে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির একটি প্রধান প্লেয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

মাইক্রোসফটের ভবিষ্যৎ:

  • AI এবং Machine Learning: মাইক্রোসফট এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিতে ফোকাস করছে, এবং Azure AI পরিষেবা প্রদান করছে।
  • মেটাভার্স: মাইক্রোসফট মেটাভার্স এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে, যাতে পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা উন্নত করা যায়।
  • সাস্টেনেবিলিটি: মাইক্রোসফট ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে।

সারসংক্ষেপ: মাইক্রোসফট একটি বৈশ্বিক প্রযুক্তি জায়ান্ট, যা অপারেটিং সিস্টেম, প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, গেমিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, এবং AI পরিষেবা প্রদান করে। এটি প্রযুক্তির ইতিহাসে এবং ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

Content added By
Content updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ইমেইল সার্ভার
ওয়েব সার্ভার
ডাটাবেইস সার্ভার
ফাইল সার্ভার
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...